নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বিদেশ থেকে ফেরা ২ হাজার ৩১৪ জন দেশের বিভিন্ন এলাকায় যার যার বাড়িতে ‘কোয়ারেন্টিনে’ আছেন বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
রোববার আইইডিসিআরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে ‘আইসোলশনে’ আছেন ১০ জন। আর চারজন হাসপাতালে ‘কোয়ারেন্টিনে’ আছেন।
“জনগণের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে এজন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের সংখ্যাটি আগে জানানো হত না। মানুষের মধ্যে যেন উদ্বেগ তৈরি না হয়, সেজন্যই আমরা সেটা বলতে চাইনি। আপনারা (সাংবাদিকরা) চেয়েছেন বলে বিষয়টি প্রকাশ করলাম। আমাদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সংখ্যাটি আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। আমাদের সিভিল সার্জনরা এ তথ্য দিয়েছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে ৩ হাজার ৭০৬টি কল এসেছে, যার মধ্যে ৩ হাজার ৬৭১টি কল নভেল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত।
এখন পর্যন্ত মোট ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহের শুরুতে যে তিনজনের শরীরে নভেল করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, চিকিৎসা শেষে তারা সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন। আর নতুন যে দুজনের দেগে শনিবার সংক্রমণ পাওয়া গেছে, তারাও শারীরিকভাবে ‘ভালো’ আছেন।
“তাদের একজন ইতালি একজন জার্মানি থেকে এসেছেন। দুজনেই পুরুষ, একজনের বয়স ২৯, আরেকজন চল্লিশোর্ধ। এদের একজনের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। দুজনেরই জ্বর এবং কাশি ছিল। তবে এ মুহূর্তে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো।”
এখনও অনেকে সেবা নিতে সরাসরি আইইডিসিআরে চলে আসছেন জানিয়ে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এরকম ৭১ জনের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের।
এভাবে সরাসরি আইইডিসিআরে না আসার অনুরোধ জানিয়েছে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। আপনারা যে গণপরিবহন ব্যবহার করবেন, যে যানবাহন দিয়ে আসবেন সেখানে থাকা মানুষের মধ্যেও কিন্তু এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
“সেক্ষেত্রে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে এলেই সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে। যদি আপনারা চলে আসেন, তাহলে আইডিসিআরে এই সেবাটি বন্ধ করে দিয়ে বাইরে থেকে নমুনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থায় থাকব।”
এখন পর্যন্ত ২১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, আরও কতটি নমুনা পরীক্ষার কিট রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরও দুই হাজারের বেশি কিট রয়েছে আইইডিসিআরের কাছে। কিছু কিট আসার পথে রয়েছে।